Sunday, November 16, 2025

সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডসহ সব খুনে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার শুরু করুন: খেলাফত মজলিস

Share

শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার দাবি এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলসহ তিন মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস।

শনিবার কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে তা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা জানি বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন সরকারকে পথ চলতে হচ্ছে।

অধিবেশনে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কিছু প্রস্তাবনা দিয়ে সেসব দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।

এর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার, গ্রেপ্তারকৃত সকল ছাত্র-শিক্ষক-রাজনীতিবিদ, আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষকে নিঃশর্ত মুক্তি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সবার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান দ্রুত কার্যকর, আহতদের জরুরি ভিত্তিতে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডসহ সকল খুনে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার, গুম হওয়া ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করা, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সবকিছু ঢেলে সাজানো, বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে প্রত্যাহার, বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলসমূহকে বয়কট, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পেশাগত কোনো কাজে হামলার ঘটনা প্রতিরোধ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করা, আরব আমিরাত, সৌদি আবরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দ্রুত মুক্তির উদ্যোগ ও তাদের পরিবারকে নিয়মিত মাসিক আর্থিক সহযোগিতা।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও অবিলম্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধন, দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যাংক ঋণ সহজীকরণ এবং রেমিট্যান্স আয়, ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিল্যান্সিং, আইটি ও রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সব জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানায় খেলাফত মজলিস।

পুরানা পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পষিদ সদস্য মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ডা. আবু হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক এ এস এম খুরশীদ আলম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক আহমদ আসলাম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আলহাজ আবু সালেহীন, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মুফতি শিহাবুদ্দীন, অধ্যাপক আবু সালমান, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. জিল্লুর রহমান, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, মাওলানা আহমদ বিলাল, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, কাজী ফিরোজ আহমদ, মাওলানা নেহাল আহমদ, আলহাজ আবু আদিবা, মো. আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ। অধিবেশনে সারাদেশের জেলা ও মহানগরী শাখা থেকে আগত মজলিসে শূরার সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/জেবি

Read more

Local News