Monday, November 10, 2025

রাবিতে মদ ও বিয়ারের বোতলসহ ছাত্রলীগ কর্মী আটক

Share

পরিস্থিতি জানতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হলেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। নাম আল-আমিন। রবিবার বিকাল তিনটার দিকে তাকে আটক করা হয়।

এসময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গাছে বেঁধে জিজ্ঞেসবাদ করা হয়। পরে তার কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চালালে দুটি মদের বোতল এবং দুটি বিয়ারের ক্যান পাওয়া যায়।

আটককৃত ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের ৪৫০ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

এদিন শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি এবং ছাত্রলীগ নিয়ে তাদের মনোভাব জানতে দুপুর ২টায় হলে প্রবেশ করেন আল-আমিন। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে আটক করে গাছে বেঁধে রাখেন এবং ছাত্রলীগের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেসাবাদ করেন।

এ সময় আল-আমিনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরিচয়পত্র ও হলের আবাসিক কার্ড ছিল না। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মদের বোতল পাওয়া গেলে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে তাকে নগরীর মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে বিভিন্ন সময়ে জয়বাংলা ব্লাড স্কিমের নাম করে ছাত্রদের আবাসিকতার তথ্য নিতেন আল-আমিন। হলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করছেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘আল-আমিন গত জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভিডিও ধারণ এবং ছবি তুলে ছাত্রদের পরিচয় ছাত্রলীগের মাঝে ফাঁস করতেন। গত মাসের ১৬-১৭ তারিখে ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় সে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। আজকে হলে আসতে দেখে আমরা তাকে আটক করি এবং গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের নেতাদের তথ্য দিয়েছে- এমন তথ্য পাওয়া গেছে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিন বলেন, ‘আমি হলে এর আগেও এসেছিলাম। এসে হলের সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে বইখাতা বের করে নিয়ে আসি। আমি হলে ওঠার জন্য মমিনুলকে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। আজকে হলে থাকার জন্য এলে আমাকে আটকে রাখে। আমি কখনো কাউকে নির্যাতন করিনি। তবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।’

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সার্জন আব্দুস সালাম জানান, ‘তার রুমে কয়েকটি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল তিনি ছাত্রলীগ কর্মী। হলে তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক নির্যাতন করতেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ও অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।’

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এজে)

Read more

Local News