কোনো পণ্যের দাম অত্যাধিক বাড়লেই সেটি খেতে জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত করতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাতলে দিতেন বিকল্প। সঙ্গে দিতেন নানা উদ্ভট রেসিপি। কিন্তু পণ্যটির দাম কমানো নিয়ে ছিল না তার কোনো তৎপরতা।
জনগণকে এভাবে মুখোশ পরিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কামিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। সেসব বিদেশে পাচার করেছেন, দেশে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।
সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের দুর্নীতি নিয়ে এখন আওয়াজ তুলছেন অনেকেই। তাদেরই একজন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু আহসান।
এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেতা লিখলেন, ‘নিজে আর সঙ্গী-সাথীরা মিলে লুটপাট করছেন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। আর আমাদের গল্প শুনাইসেন কাঁঠালের তরকারি, সিদ্ধ ডিম, নুন ভাত, পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার। ব্যাপক বিনোদন।’
তার এই পোস্টের নিচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। নাজিয়া খালেদ লোপা নামে একজন লিখেছেন, ‘ভাইয়া কুমড়ার বেগুনি বাদ পড়ছে।’ মিতা হাসান নামে একজন লিখেছেন, ‘আর ঐ কাঁঠালগুলো তো আমাদের মাথাতেই ভেঙে খাওয়া হইছে।’
অভিনেতা জিতু আহসান এর আগে সরব ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনেকবারই জানিয়েছেন সংহতি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষেও ছিলেন। মাথায় জাতীয় পতাকার ছবি বেঁধে রাজপথেও নেমেছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এজে)

