গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রতিষ্ঠানটির আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে, হাইকোর্ট এই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রেখেছিল, যার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আপিলের শুনানি শেষে আজ এই আদেশ দেন।
গ্রামীণ টেলিকমের ছয় কর্মকর্তা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম এবং পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নুরজাহান বেগম এবং এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস এবং ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের পাওনা লভ্যাংশের তহবিল থেকে প্রায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক মামলাটি দায়ের করে।
আজ শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ড. ইউনূস এবং অন্যান্য আপিলকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান যথাক্রমে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের প্রতিনিধিত্ব করেন।
গত বছরের ১২ জুন ঢাকার একটি আদালত ড. ইউনূস এবং আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে। অভিযোগ গঠনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিবাদীপক্ষের একটি আবেদন গত বছরের ২৪ জুলাই সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতকে এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলা প্রত্যাহারের জন্য দুদকের আবেদনের পর ড. ইউনূস, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নুরজাহান এবং অন্যান্য ১২ জন আসামিকে অব্যাহতি দেন।
একই বছরের ১১ আগস্ট, দুর্নীতি দমন কমিশন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার একটি আবেদন যাচাই করার পরে মামলা প্রত্যাহারের অনুমোদন দেয়।