বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ দুই টেস্টে মোহাম্মদ শামির খেলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে ভারতের ডানহাতি অভিজ্ঞ পেসারের বাঁ হাঁটু কিছুটা ফুলে গেছে। তাই অস্ট্রেলিয়া সফরে চলমান পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাঠে নামা হচ্ছে না ৩৪ বছর বয়সী তারকার।
রোববার ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে শামির ফিটনেস ঘাটতির বিষয়টি। ফলে তার জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। এই বছর ভারতের জার্সিতে কোনো ম্যাচই খেলতে পারেননি তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোড়ালির চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা বোলিংয়ের কারণে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে শামির, ‘রঞ্জি ট্রফির (প্রথম শ্রেণির আসর) ম্যাচে মধ্য প্রদেশের বিপক্ষে বাংলার হয়ে শামি ৪৩ ওভার বল করেছে। এরপর সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে (টি-টোয়েন্টি আসর) বাংলার নয় ম্যাচের সবকটিতে সে খেলেছে। সেখানে (অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে) টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে বাড়তি বোলিং সেশনও করেছে। কিন্তু বোলিংয়ের চাপের কারণেই তার বাঁ হাঁটু হালকা ফোলা দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন পর এত লম্বা সময় ধরে বল করলে এরকম ফুলে যাওয়া স্বাভাবিক।’
২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল শামিকে। ওই আসরে বিশেষ ইনজেকশন নিয়ে খেলেছিলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে ডান পায়ের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার। দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে গত মাসে রঞ্জি ট্রফি দিয়ে এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উপযুক্ত ফিটনেসের অভাবে তাকে জাতীয় দলে ফেরার খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি, ‘সবশেষ পর্যবেক্ষণের পর বিসিসিআইয়ের চিকিৎসক দলের মনে হয়েছে, বোলিংয়ের চাপ নিয়ন্ত্রিতভাবে সামলানোর জন্য তার হাঁটুর আরও সময় প্রয়োজন। তাই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির বাকি দুটি টেস্টে তাকে বিবেচনা করার জন্য ফিট মনে করা হয়নি।’
আগামী বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চতুর্থ টেস্ট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন চলছে ১-১ ব্যবধানে সমতা। পার্থে প্রথম টেস্টে ভারত ২৯৫ রানে জিতেছিল। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ১০ উইকেটে। ব্রিসবেনে গত সপ্তাহে বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় টেস্ট হয় ড্র।