রেকর্ডের সঙ্গে যার নিত্যদিনের সখ্যতা, সেই লিওনেল মেসির অর্জনের মুকুটে যুক্ত হলো আরেকটি কীর্তির পালক। ফিফা আয়োজিত সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার রাতে আটলান্টায় ক্লাব বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি। পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। জাদুকরী এক লক্ষ্যভেদে লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিক থেকে নিখুঁত শটে জাল কাঁপান তিনি।
ফিফা টুর্নামেন্টে বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র পর্যায় মিলিয়ে মেসির এটি ২৫তম গোল। ফলে নারী ও পুরুষ বিভাগ মিলিয়ে এককভাবে রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন তিনি। এতদিন ২৪টি করে গোল নিয়ে তার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান নারী ফুটবলার মার্তা।
২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ৬ গোল করেছিলেন মেসি। এরপর পাঁচবার মূল বিশ্বকাপে খেলে তিনি নিশানা ভেদ করেছেন ১৩ বার। আর এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন এলএম টেন। টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ গোলের দেখা তিনি পেয়েছেন পোর্তোর বিপক্ষে।
পুরুষ বিভাগের রেকর্ডটি আগে থেকেই ছিল মেসির দখলে। তালিকায় তার ঠিক পরের স্থানে যৌথভাবে আছেন সাবেক দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রোনালদিনহো ও রোনালদো। দুজনই ফিফা টুর্নামেন্টে ১৮টি করে গোল করেছেন। যৌথভাবে তিন নম্বরে থাকা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের রয়েছে ১৭টি করে গোল।
পোর্তোর বিপক্ষে জাল কাঁপিয়ে আরও কিছু অর্জনে নাম লিখিয়েছেন মেসি। মেজর সকার লিগের দল মায়ামির ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে গোলের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। সেজন্য সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার লেগেছে ৬১ ম্যাচ।
ফ্রি-কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়দের তালিকায় তিনে আছেন মেসি (৬৮ গোল)। তার উপরে আছেন শুধু জুনিনহো (৭৭ গোল) ও পেলে (৭০ গোল)। তাছাড়া, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের সঙ্গে ৬ গোল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে উঠে এসেছেন মেসি। শীর্ষে থাকা সিআর সেভেন করেছেন ৭ গোল।
মেসির নৈপুণ্যের ম্যাচে ইতিহাস গড়েছে মায়ামিও। কনকাকাফের (উত্তর আমেরিকা, মধ্যে আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) প্রথম ক্লাব হিসেবে কোনো অফিসিয়াল ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের কীর্তি গড়েছে তারা। আগের ১৩ লড়াইয়ের ১০টিতেই জিতেছিল ইউরোপিয়ানরা। বাকি তিনটি হয়েছিল ড্র।