আগের রাতের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ে শুরু হলো না খেলা। ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারিত হয় সকাল ১১টায়। যারা খানিক পর খেলা দেখতে শুরু করেছেন তারা নিশ্চয়ই দৃশ্যটা মিস করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম ইনিংসের মতন দ্বিতীয় ইনিংসেও সস্তায় বিলিয়েছেন নিজের দামি উইকেট!
আগের দিন শেষের গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে মুমিনুল হক বলেছিলেন, চতুর্থ দিনে খেলতে হবে ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট। দিনের শুরুটা তাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার রোগ থেকেও বেরুতে চাওয়ার দৃঢ়তা যে দলের আছে জানিয়েছিলেন তাও।
তবে শান্তর মনে থাকল না বোধহয় তা। দিনের একদম দ্বিতীয় বলেই বিদায় নিলেন থিতু থাকা শান্ত। আগের দিনে ৬০ রানে অপরাজিত থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বল পুল ও ফ্লিকের মাঝামাঝি মতন করতে গেলেন। হাফ হার্টেড শটে উঠা সহজ ক্যাচ জমা পড়ল ফাইন লেগে। তার বিদায়ে আগের দিনের স্কোর অর্থাৎ ১৯৪ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করে অফ স্টাম্পের বাইরে আলগা শটে পয়েন্টে ধরা দিয়েছিলেন শান্ত। আউট হয়ে ফিরে ডাগআউটে বসে থাকা শান্ত অভিব্যক্তিতে ছিলো নিজের উপর বিরক্তি আর অবিশ্বাস। এবারও একই দৃশ্যর দেখা মিলল। আরও একবার আত্মহুতি দিয়ে তিনি ডাগআউটে বসে বিমর্ষ হয়ে তাকিয়ে থাকলেন ক্রিজের দিকে।
শান্তকে দ্রুত হারালেও বাংলাদেশ এখনো ভালোভাবেই ম্যাচে আছে। বাংলাদেশ দলের চাওয়া লিডটা তিনশোর কাছে নিতে, জিম্বাবুয়ে চায় বাংলাদেশের লিড দুইশোর ভেতর রাখতে।