রুশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল ও তার সহকারীকে রাজধানী মস্কোতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (এসবিইউ)। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও রুশ বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইগর কিরিলভ রাশিয়ার পরমাণু, রাসায়নিক ও জৈব সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সহকারীকে নিয়ে বের হচ্ছিলেন কিরিলভ। তখন ভবনের সামনে থাকা বৈদ্যুতিক স্কুটারে লুকানো বোমা বিস্ফোরিত হলে দুজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আজ বুধবার কিরিলভকে হত্যার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। আটক ব্যক্তি উজবেকিস্তানের নাগরিক। তাকে এসবিইউ নিয়োগ দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘সামরিক পরাজয় অনিবার্য হয়ে গেছে বুঝতে পেরে ইউক্রেন এখন (রাশিয়ার) শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে ঘৃণ্য, কাপুরুষোচিত হামলা শুরু করেছে।’
ইউক্রেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিধ্বস্ত দেশটির শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি অপেক্ষা করছে।’
বিবিসি জানায়, কিরিলভের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে এই হামলা চালিয়েছে এসবিইউ। কিরিলভ ‘নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র’ ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এসবিইউয়ের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে কিরিলভের নেতৃত্বে চার হাজার ৮০০ বার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে—যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার বিষয়টি জানতো না। যুক্তরাষ্ট্র এরকম হামলা সমর্থন করে না বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।