১৮ বছরেও যা হয়নি, তা হয়ে গেল শনিবার রাতে। বার্সেলোনার ঘরের মাঠে জয় পেল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। যা আবার দিয়াগো সিমেওনের কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথম। অথচ সেই ২০১১ সাল থেকে দলটির কোচ এই আর্জেন্টাইন। সবমিলিয়ে কাতালান ক্লাবটির অবস্থা এরচেয়ে বাজে হয়েছিল সেই ২০০৮ সালে।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আগের রাতে অ্যাতলেতিকোর কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ম্যাচের ৩০তম মিনিটেই পেদ্রির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। ৬০তম সমতা ফেরান রদ্রিগো দি পল। আর যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ দিকে আলেকজান্দার সরলথের গোলে জয় পায় অ্যাতলেতিকো।
ফল লা লিগায় সবশেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। সম্ভাব্য ২১ পয়েন্টের মধ্যে তাদের মিলেছে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট! চারটি ম্যাচে হেরেছে দলটি, দুটি ড্র। এরচেয়ে বাজে ফলাফল তারা করেছিল সেই ২০০৮ সালের মার্চে, তখন দলটির কোচ ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড।
সেবার অ্যাতলেতিকোর কাছে ২-৪ ব্যবধানে হারের পর নয় ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল ব্লুগ্রানারা, বাকি চারটি করে হার ও ড্র। পরে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৬-০ ব্যবধানে জিতে বৃত্ত ভাঙে দলটি। ফ্লিকের বার্সা যেন সেই পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই বৃত্ত ভাঙতে ফ্লিকের আর কত ম্যাচ লাগে।
চলতি বছরের আর কোনো ম্যাচ নেই বার্সেলোনার। পরের ম্যাচটি তারা খেলবে ১৮ জানুয়ারি। নতুন বছরে গেতাফের বিপক্ষে সেই ম্যাচের আগে আপাতত ছুটি কাটানোর দিকে মনোযোগ তাদের। অ্যাতলেতিকোর কাছে হারের পর সে কথাই বলেছেন ফ্লিক, ‘এখন ছুটি এবং আমার মনে হয়, সবার এই বিরতিটা দরকার।’
‘বিরতি শেষে আমরা আবার অনুশীলন করব এবং দেখাব যে আমরা কতটা শক্তিশালী। এই হার নিয়ে আমরা সবাই খুব হতাশ, কারণ খেলোয়াড়রা চমৎকার খেলেছে। আমরা এখন বড় দিন উদযাপন করব, এরপর ২৯ ডিসেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু করব এবং মৌসুমে পরের ভাগে কী করতে পারি, সেদিকে নজর দিব,’ যোগ করেন বার্সা কোচ।