অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে প্রথমবারের মতো স্থান পাওয়ার পরে তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাস জানিয়েছেন, বক্সিং ডে টেস্টে ভারতের ঝাঁজালো পেস আক্রমণের মুখোমুখি হতে তিনি রোমাঞ্চিত এবং পুরোপুরি প্রস্তুত।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে প্রথম তিন টেস্ট খেলে তেমন পারফর্ম করতে পারেননি ন্যাথান ম্যাকসুয়েনি। ম্যাকসুয়েনিকে বাদ দিয়ে অজিরা দলে নেয় ১৯ পেরুনো তরুণ কনস্টাসকে। একাদশে থাকলে কনস্টাস মেলবোর্নে বক্সি ডে টেস্টে ওপেন করতে নামবেন উসমান খাওয়াজার সঙ্গে, যার বয়স কীনা কনস্টাসের দ্বিগুণ, ৩৮!
শনিবার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসর বিগ ব্যাশ লীগে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলা শেষে তিনি ফক্স স্পোর্টসকে জানান নিজের রোমাঞ্চের কথা, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। আমার মনে হয় আমি খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তাই আশা করি আমি সেই সুযোগ পাব।’
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিনটি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার জাসপ্রিট বুমরা আতঙ্কিত বারবার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন। বারবার বুমরাহর শিকার হয়ে ম্যাকসুয়েনি দল থেকে বাদ পড়েছেন, স্বস্তিতে নেই খাওয়াজাও। অভিজ্ঞ এই ওপেনারও পুরো সিরিজে নড়বড়ে।
কনস্টাস ইনিংস ওপেন করবেন বলেই নিশ্চিত নয়। দলে থাকা জশ ইংলিস এবং অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টারও এই ভূমিকার জন্য বিবেচনায় আছেন। যদি তিনি ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পান তবে ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহেন্সবার্গে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পর অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অভিষেককারী হয়ে যাবেন।
শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে দুই ইনিংসে শতরান করার পরে রিকি পন্টিংয়ের পর থেকে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হওয়ার পথে কনস্টাস নিজেকে উঁচিয়ে ধরছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর একাদশের হয়ে ভারতের বিপক্ষেও একটি শতরান করেছিলেন।
গত সপ্তাহে কনস্টাস যখন নেটে ব্যাট করছিলেন, তখনই অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচক জর্জ বেইলির কাছ থেকে ফোন পান। অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পাওয়ার খবর পরিবারকে জানাতে ভীষণ আবেগময় মুহূর্তও তৈরি হয়, ‘আমি খুবই উত্তেজনা বোধ করছিলাম। এবং সরাসরি আমার বাবা-মাকে ফোন করেছিলাম, এবং তারা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। মা কাঁদছিলেন, তাই আমি কাঁদতে চেষ্টা করছিলাম না। বাবা খুব গর্বিত ছিলেন। জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে এটি অদ্ভুত এক ভ্রমণ।’