বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেন লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
এর প্রায় এক ঘণ্টা পর একদল ভারতীয় নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে এসে বাংলাদেশি এক যুবককে তুলে নিয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মোগলহাট সীমান্তের কুমারটারী এলাকার ৯২৭ নম্বর মেইন পিলারের তিন নম্বর সাব-পিলারের পাশ দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন।
ওই ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার নাগরটারী দরিবাস এলাকার মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমিনুল বাংলাদেশে প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ধরে ফেলে। এরপর বিজিবির মোগলহাট কোম্পানি ক্যাম্পে হস্তান্তর করে।
ঘটনার পরপরই আমিনুলের ছেলে এবং আরও ১০–১২ জন ভারতীয় নাগরিক সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ গজ ভেতরে ঢুকে সিরাজুল হক ওরফে মান্নান নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে তুলে নিয়ে যান, জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সিরাজুল আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা কুমারটারী তেঁতুলতলা গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে। তিনি ওই সময় গরু চরাচ্ছিলেন।
বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ মোগলহাট ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার সাঈদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে এবং বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।’
বিজিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার জিতেন্দ্র নাথ।