টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচগুলোতে দেখা গিয়েছিলো রান বন্যা। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির প্লে অফ রাউন্ডে এসে আর উইকেট সেভাবে থাকল না। মন্থর বোলিং সহায়ক টিপিক্যাল ঘরোয়া উইকেটে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচও হলো লো স্কোরিং। তাতে নাঈম শেখের ফিফটি গড়ে দিল ব্যবধান। খুলনাকে বিদায় করে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল ঢাকা মেট্রো।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও ৩৮ রানে খুলনা বিভাগকে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। ১২০ রান তাড়া করতে গিয়ে এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহান সমৃদ্ধ খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়ে ৮১ স্রেফ রানে। ২৪ ডিসেম্বর ফাইনালে ঢাকা মেট্রো লড়বে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে, যে দলের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ হেরেছিলো তারা।
শুরুতেই খুলনার ইনিংসে হানা দেয় বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ও অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আরেক অফ স্পিনার আলিস আল ইসলাম হয়ে উঠেন দুর্বোধ্য। মারুফ মৃধা, আবু হায়দার রনিরাও দলের চাহিদা মেটানো বল করলে ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। এরপর টেনেটুনে তারা কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।
মোসাদ্দেক সৈকত ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সফলতম বোলার। মারুফ আর রাকিবুল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ১ উইকেট পেলেও আলিস ছিলেন অসাধারণ। তার ৪ ওভার থেকে মাত্র ৫ রান তুলতে পেরেছে খুলনা, ২৪ বলের মধ্যে ১৯টাও ডট করেছেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে ঢাকা মেট্রোর ইনিংস এগিয়ে নেন টুর্নামেন্ট জুড়ে ছন্দ দেখানো নাঈম শেখ। ইমরানুজ্জামানকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান আনেন তিনি। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে মেট্রো। তবে নাঈম টিকে যান ১৮তম ওভার পর্যন্ত। ৬ চার, ১ ছক্কায় করেন ৫৩ বলে ৫৭ রান। মন্থর উইকেটে তার ওই ইনিংসই গড়ে দেয় পার্থক্য।