পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কপ-২৯ প্রেসিডেন্সি কর্তৃক প্রকাশিত নতুন যৌথ পরিমাণগত লক্ষ্য (এনসিকিউজি) বিষয়ক সর্বশেষ খসড়া নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনের শেষ পর্বে পৌঁছে এটি প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি একে “খুবই হতাশাজনক একটি প্যাকেজ” বলে অভিহিত করেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এনসিকিউজি’র কথা উল্লেখ করে বলেন, এই খসড়া স্বল্পোন্নত দেশসমূহ (এলডিসি) এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর (সিডস) জরুরি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রতুল।” এই বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থার আওতায়ও নেই। এছাড়াও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি এলডিসির জন্য কোনো বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি।
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কপ-২৯ মূলত জলবায়ু অর্থায়নকেন্দ্রিক হওয়া সত্ত্বেও এর ফলাফল এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অপ্রতুল।
তিনি বলেন, ‘‘এই প্যাকেজটি এলডিসি এবং সিডস-এর মতো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ন্যায়সংগত প্রস্তাবও দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি তাদের ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখীন হতে আরও বেশি করে একা ফেলে রেখেছে।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে এই প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যথাযথ সংশোধন ছাড়া এটি বাস্তবে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
তিনি সব অংশীদারকে একটি আরও উচ্চাভিলাষী, ন্যায়সংগত এবং কার্যকর জলবায়ু অর্থায়ন কাঠামোর পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান, যা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেয়।
ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ইএস