শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারবিরোধী নানা গুজবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি সিডনিতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনসুলেট নিয়েও গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন করে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গত কারণেই কমিউনিটির অনেকেই তার ছড়ানো গুজবে কান দিয়েছেন।
আবুল সরকার ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি আজ সকালে সিডনিতে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক প্রবাসী তাকে জানিয়েছেন, দূতাবাসের সেবার জন্য নির্দিষ্ট ফি ব্যাংকে ট্রান্সফার করলে সেটি চলে যায় পাকিস্তান কনসুলেট অফিস, সিডনির অ্যাকাউন্টে। সেই রসিদটি আবুল সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। তার শেয়ার করা রসিদটি অস্ট্রেলিয়া শাখা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচকদের অনেকেই শেয়ার করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আবুল সরকারকে কল করা হলে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আমাকে যেমনটি বলেছেন আমি ঠিক সেভাবেই রসিদটি শেয়ার করেছি। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তাই এটা নিয়ে কারা কী করছেন আমি কিছুই জানি না। তবে আমি বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরেই ফি জমা দিয়েছি। যখন আমি দেখলাম ফি অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে তখন একজন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি সন্তোষজনক জবাব দেননি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কূটনৈতিক মিশনের কনসাল জেনারেল শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, আমাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন প্রবাসী এই একাউন্টে ফি জমা দিচ্ছেন। কারো অর্থই অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে না। অবশ্যই তিনি ভুল করে অথবা কোনো উদ্দেশ্যে পাকিস্তান কনসুলেটের অ্যাকাউন্টে ফি জমা দিয়েছেন।’
কনসাল জেনারেল আরও বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার। এটা যারা করছে তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক